ভোটগ্ৰহণ মিটতেই ব‍্যাগ ভর্তি কৌটো ঘিরে বোমাতঙ্ক : এল বোম্ব স্কোয়াড

18th April 2021 10:24 pm বর্ধমান
ভোটগ্ৰহণ মিটতেই ব‍্যাগ ভর্তি কৌটো ঘিরে বোমাতঙ্ক : এল বোম্ব স্কোয়াড


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) :  পরিত্যক্ত বাড়িতে ব্যাগে ভরে রাখা একাধীক কৌট ঘিরে বর্ধমানের তালিতে ছড়ালো বোমাতঙ্ক ।রবিবার দুপুরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায়  দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ।ওই জায়গায়  সাধারণ মানুষেরযাতায়াত বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের তরফে খবর দেওয়া হয়েছে বোম স্কোয়াডে। ব্যাগ ভর্তি কৌট কারা ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে রাখলো, প্রকৃতই সেগুলি কি বোমা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা । বর্ধমানের তালিতের ঝাপানতলা ও ডাঙ্গাপাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় রয়েছে ওই পরিত্যক্ত বাড়িটি ।টিনের  চাল আর মাটির দেওয়ালের দোতলা বাড়ির নিচের তলার একটি ঘরে ব্যাগের ভিতরে ভরা  রয়েছে কয়েকট কৌট।ওই পরিত্যাক্ত বাড়িটির  আশপাশে অনেক গৃহস্থ পরিবারের বসবাস রয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন ভট্টাচার্য্য বলেন ,এদিন বেলায় তিনি ওই পরিত্যক্ত বাড়ির নিচেতলার একটি ঘরে ব্যাগে ভর্তি কৌটগুলি দেখতে পেয়ে এলাকার সবাইকে জানান । গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেয় ।  পুলিশ এসে ব্যাগে ভর্তি কৌট গুলি প্রত্যক্ষ করে ওই বাড়ির সামনে থাকা সবাইকে সরিয়ে দেয় । পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখো বোম স্কোয়াডে খবর দেয়।সৌমেন বাবু সহ এলাকার 
 সবাই আশঙ্কা করছেন ব্যাগে কৌট বোমা ভরে রাখা থাকতে পারে ।পঞ্চম দফার ভোট মিটতে 
না মিটতে বোমাতঙ্কে এখন দিশেহারা ঝাপানতলা ও ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দারা। এলাকার বধূ প্রিয়ান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , বোম বারুদ এই সব তাঁদের এলাকায় আগে কোন দিনও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা নেই ।  তাঁদের বাড়ির কাছের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ব্যাগে ভরে কেউ বোমা রেখে গেছে শুনে আতঙ্কে রয়েছেন ।এলাকাবাসীর কেউ কেউ আবার বলেন ,শনিবার ভোটের দিন এলাকা অশান্ত করতে হয়তো দুস্কৃতিরা এলাকায় বোমা আমদানি করেছিল ।পুলিশের বক্তব্য , দমকল ও মেডিকেল টিমের উপস্থিতিতে বোমস্কোয়াড  ৫ টি কৌট বোমা উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করা বোমা গুলিকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয় ।

ছবি - আব্বাস আলি





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।